ক্যাম্পাস বন্ধ করে যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না

ক্যাম্পাস বন্ধ করে যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না
ক্যাম্পাস বন্ধ করে যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না  © সংগৃহীত

‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বুধবার (১৭ জুলাই) এক যুক্ত বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব- সোয়াত এর ন্যাক্কারজনক হামলা, ৭ জন মানুষ হত্যার বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে এই কর্মসূচি। কর্মসূচি সফল করতে দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রসমাজকে রাজপথে নেমে আসার জন্য আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

একই সাথে দেশের জনগণের প্রতিও তাঁরা আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই আন্দোলন দেশের আপামর জনসাধারণের আন্দোলন। এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।

তারা আরও বলেন, অগণতান্ত্রিক কায়দায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার ভেবেছে তারা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবে। এখন পর্যন্ত পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় সারা দেশে প্রায় ৭ জন মানুষ প্রাণ দিয়েছে। শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার ভেবেছে এগুলো করে সে আন্দোলন স্তিমিত করতে পারবে। কিন্তু ইতিহাস সে শিক্ষা দেয় না। বরং সরকার যত দমন-পীড়নের পথে যাবে আন্দোলন তত ছড়িয়ে পড়বে।

ছাত্র ফ্রন্ট বলেন, সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতেও এই সংকট সমাধানের কোন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। ভাষনে আগের কথারই চর্বিত চর্বণ তিনি করেছেন। আসলে গোটা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন চূড়ান্ত দমন-পীড়নের রাস্তায় নেমেছে। এই পথে আগাতে থাকলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে, সহিংসতা বাড়বে। তাই সরকারের উচিত এখনই শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেয়া অন্যথায় ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া।

একই সাথে দেশের আপামর ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্রসমাজের এখন আর হারাবার কিছু নেই। ছাত্রলীগ ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এই সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি। তাই রাজপথে নেমে এসে সেই প্রতিরোধে সামিল হওয়ার জন্য ছাত্র জনতার প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ