ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ সাতজন রিমান্ডে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জুলাই) আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেন হাওলাদার।
রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম (৪৭), তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন (৩০), বিএনপি কর্মী শাহাদাত হোসেন (৩২), মো. টেনু (৩৮), মনির হোসেন (২৫) ও বরকত হাওলাদার (৩৭)।
অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাঠিসোঁটা, বিস্ফোরকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের তথ্য জানান ডিবিপ্রধান। এরপর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ডিবি। পরে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পল্টন থানায় করা মামলাটিতে ২৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন’শ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকায় নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিতরে ককটেল এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ৫৫টি ককটেল বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর খাটের তোষকের নিচ হতে দুইটি পাইপগান, পুরাতন তিনটি ওয়ান সুটারগান, একটি পিস্তল ও ২১০টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।