শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে বললেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত করে সরকারি চাকুরিতে কোটা বাতিলের পক্ষে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আমি কে, তুমি কে- রাজাকার-রাজাকার’ বলে স্লোগান দিয়েছেন। এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক উচ্চারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা বলছেন, এসব আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের এই স্বাধীন দেশে কোন ধরনের অধিকার থাকতে পারে না।
“আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সকল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখে অতি শিগগির ক্লাস-পরীক্ষায় মনোযোগ দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখুন।”
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সারাদেশে নিহত ৬
বিবৃতিতে বলা হয়, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনবদ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও যেকোনো জাতীয় প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে গণ্য হয়।
“কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ ২৩ বছরের মুক্তি সংগ্রাম শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে “তুমি কে, আমি কে- রাজাকার রাজাকার” এর মত ঘৃণ্য স্লোগান দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা দেখানো হয়েছে যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাবেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা যখন মানুষের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে ঠিক তখনই ‘৭১ এর পরাজিত শক্তি ও তাদের উত্তরসূরিদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে পথভ্রষ্ট কতিপয় শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গনে এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ স্লোগান দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও লাল-সবুজের পতাকাকে অস্বীকার করার শামিল।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন—সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, খলিলুর রহমান মোহন, নুরুল ইসলাম সুজন, গোলাম মোস্তফা সুজন, বাহাদুর বেপারী, সাজ্জাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শেখ সোহেল রানা টিপু, মেহেদি হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, আতাউর রহমান ডিউক, অসীম কুমার উকিল, মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, কামরুজ্জামান আনসারী, পংকজ দেবনাথ, একেএম আজিম হেমায়েত উদ্দিন খান হিমু, সাজ্জাদ সাকীব বাদশা, ওমর শরীফ, মোতাহার হোসেন প্রিন্স, সনজিত চন্দ্র দাস।