বাংলাদেশের রাজপথে আর কোনও রাজাকার থাকবে না: সাদ্দাম
আর ঘরে বসে থাকার বা বিনয় দেখানোর সময় নেই উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, কাল (সোমবার) থেকে বাংলাদেশের রাজপথে আর কোনও রাজাকার থাকবে না। প্রত্যেক জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা, দেশে যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, যারা লাখো শহীদের রক্ত নিয়ে তামাশা করবে, রাজপথেই এ ফয়সালা হবে। রোববার (১৪ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতাধর্মী, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও যৌক্তিক রাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করার রাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। যারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করার চেষ্টা করে, তাদের জবাব দেওয়ার জন্য আজকে থেকে ছাত্রলীগ পুরোদমে প্রস্তুত রয়েছে। যৌক্তিক সমাধান সংস্কার কোনও কিছুই নয়, এদের ক্রোধ এই লক্ষ্য হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘৃণা করা, শহীদদের লাঞ্ছনা করা।
ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা নিজেরা বলছে ‘আমি রাজাকার’, তাদের জন্য ছাত্রলীগ রাজাকার কোটা চালু করল। যারা রাজাকার কোটার আওতাধীন, তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েই ছাত্রলীগ ক্ষান্ত হবে। যেখানেই রাজাকার ওদের দেখবেন, সেখানেই প্রতিবাদ গড়ে তুলে তার আপন ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন।
কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সৃষ্ট উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারপন্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আরো পড়ুন: হলে ফিরেছেন ঢাবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
সোমবার (১৫ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। যদি প্রত্যাহার না করেন তাহলে সোমবার দুপুর ১২টায় দেশের সব স্থানে বিক্ষোভ মিছিল পালনের আহবান জানান তিনি।
আর রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সোমবার বিকাল ৩টায় প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।