হাইকোর্টের রায় অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত: ছাত্র ইউনিয়ন

চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল

  © টিডিসি ফটো

দেশের উচ্চ আদালত রাষ্ট্রের বিদ্যমান কর্মসংস্থান প্রক্রিয়ায় কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলছে, এই রায় অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কোটা বহাল নয়, সংস্কারই সংকটের সমাধান বলে মনে করছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রাষ্ট্রের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলো ২০১৮ সালে। তখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল দাবি ছিল কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন। কিন্তু আমরা সেসময় দেখলাম সরকার কোটা সংস্কারের পথে না হেঁটে কোটা বাতিল করে দিয়ে সংকটকে আরো গভীর করে তোলে এবং আন্দোলনের যৌক্তিকতা অনুধাবনে অক্ষমতা প্রকাশ করে। সেসময়ই আমরা এর ঘোরতর বিরোধিতা করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে এটা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকারের একটি কূটচাল মাত্র, অচিরেই কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল হবে৷ এখন ছাত্র ইউনিয়নের সেই ভবিষ্যৎ বাণীই সত্য প্রতিপন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কোটা পদ্ধতির পুনরুজ্জীবনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হলে দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি পাওয়া যাবে না উপরন্তু বিদ্যমান বেকারত্ব সংকট আরও ঘনীভূত হবে। এমন পরিস্থিতিতে এটা দীর্ঘমেয়াদে জাতীয় স্বার্থে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্মের জন্য কতখানি কোটা বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন তা নিয়ে অবশ্যই স্থায়ী সমাধান আসা উচিত। পাশাপাশি কোটা পদ্ধতিতে আদিবাসী, নারী ও প্রতিবন্ধী কোটাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

“আমরা প্রত্যাশা করি, সংশ্লিষ্টজনকে সাথে নিয়ে সরকার অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার সাধনের মাধ্যমে চলমান সংকটের একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করবে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাই কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন অগ্রসর করার। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে অপ্রতিরোধ্য দুর্গ গড়ে তোলার ঐতিহাসিক দায় থেকে পিছু হটবে না।”


সর্বশেষ সংবাদ