ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের চেয়ে শিবিরের ফেসবুক ফলোয়ার বেশি
বিশ্বে মেটার পাশাপাশি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়লেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামই এখনো জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে। যদিও টিকটকের সেটাকে দ্রুতই ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পণ্য ও সেবাদানকারীরা ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেই সফলতার মুখ দেখছেন বেশি। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক সংগঠন, খেলোয়াড় এমনকি জেলে-তাঁতী— প্রায় সবারই এখন ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট-পেজ রয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারণার দৌড়ে বাংলাদেশের ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে প্রথম সারির তিনটি সংগঠন হল ছাত্রলীগ, ছাত্রদল এবং ছাত্র শিবির। ফেসবুকে এই সংগঠনগুলোর ভেরিফাইড পেজে দেখা যায়, এই ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে ফেসবুক পেজে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার ছাত্রশিবিরের। ছাত্রলীগের আছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ফলোয়ার। ছাত্রদলের পেজে আছে ১ লাখ ৪২ হাজার ফলোয়ার। অন্যদিকে ছাত্র শিবিরের আছে ২৫ লাখ ফলোয়ার।
ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজটি খোলা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৬ মে। ছাত্রদলের পেজটি তার একবছর আগে ২০১৩ সালের ১৮ মে তে খোলা হয়। আর ছাত্র শিবিরের পেজটি খোলা হয় ২০০৯ সালের ২৭ মে মাসে। পেজ খোলার সাথে ছাত্রসংগঠনগুলোর একটি মিল রয়েছে তা হল সবকটি পেজ মে মাসেই খোলা হয়েছে।
এড অ্যানালাইসিস করে দেখা যায়, ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি পেইড বিজ্ঞাপন দিয়েছে ছাত্রলীগ। ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১০টি ফেসবুক এড অ্যাক্টিভ করা হয়েছিলে ছাত্রলীগের পেজটিতে। পেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে দুইবার। এছাড়া পেজটি বাংলাদেশ থেকে ২০টি অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
অ্যানালাইসিসে ছাত্রদলের পেজটিতে দেখা যায়, পেজটিতে এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের ফেসবুক এড অ্যাক্টিভ করা হয়নি। পেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে একবার। এছাড়া পেজটির নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশের ২০টি, মালয়শিয়া থেকে একটি এবং যুক্তরাজ্য থেকে অন্য আরেকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।
ছাত্র শিবিরের পেজটির এড অ্যানালাইসিসে দেখা যায়, ২৯ আগস্ট ২০২৩ সালে একটি এড অ্যাক্টিভ করা হয় তবে এটি ফেসবুক সরিয়ে দেয়। এটি ছাড়া আর কোনও বিজ্ঞাপন দেয়া হয় নি। পেজটির নাম একবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া পেজটির নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশের ছয়টি, সিঙ্গাপুরের চারটি, কানাডার একটি এবং সৌদি আরব থেকে অন্য একটি অ্যাকাউন্ট।