পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের বিক্ষোভ বিএনপি অফিসের সামনে
রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পদবঞ্চিত শতাধিক পদপ্রত্যাশী। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সদ্য ঘোষিত ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তাদেরকে দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান।
এর আগে শতাধিক পদবঞ্চিত ছাত্রনেতা ৭১ হোটেলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাথে তার দপ্তরের সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ, পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ
এসময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনিয়ম ও অসংগতিগুলোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন নির্যাতিত জেল খাটার বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ তাদের ক্ষোভ ও হতাশা এবং নির্যাতন ও ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদবঞ্চিতদের আশ্বস্ত করে বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়ে কমিটির সংহতিগুলো প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান, অর্থের বিনিময়ে যোগ্যদের বাদ দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর রাজপথে থাকা অসংখ্য ছাত্রনেতা বাদ দিয়েছে রাকিব-নাছির কমিটি। পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ককটেল মেরে সেটি পদবঞ্চিতদের ঘাঁড়ে চাপানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন সংগ্রামে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
এসময়ে পদবঞ্চিতদের মধ্য্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাদির শাহ পাটোয়ারী, জিহাদুল ইসলাম রঞ্জু, এস এম মাহমুদুল হাসান রনি, জহির হাসান মোহন, মারজুক আহমেদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ, মুজাহিদুল ইসলাম, নাইম মাহমুদ, রুবেল হোসেন, লিটন হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. মশিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসতিয়াক কামাল (সজীব হাওলাদার), সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, জিএম রাকিব হাসান রকি, রনি হাওলাদার, মো. মানিক ভূইয়া, নজরুল ইসলাম রাঢ়ি, কাজী সাইমন সিরাজী, সাবেক সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ আহমেদ রাজ, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির মিল্লাত পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন পিয়াস, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজবিউল হাসান, সাহ পরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রোকন উদ্দিন, শেরে বাংলা থানা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি মহসিন শেখ, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সম্পাদক ফজলে রাব্বি হৃদয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাসিমুল গনি মননসহ ছাত্রনেতা মো.পলাশ আকন, শাকিল আহমেদ রানা, কাজী সাইমন সিরাজী, তাজবিউল ইসলাম, ইশতিয়কি রাব্বি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ঈদ-উল আজহার দু’দিন আগে গত ১৫ জুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। এই কমিটিতে সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতার পছন্দের লোকজনদের স্থান দিতে গিয়ে পরীক্ষিত ও মামলায় জর্জরিত শতাধিক যোগ্য ও ত্যাগী পদপ্রত্যাশীর স্থান হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে।