আধিপত্য বিস্তারে রাতে সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দু’পক্ষ
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ মিছিল নিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে চাইলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এ সময় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে একটি পক্ষের নেতার কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এতে আহত হন কয়েকজন। পরে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আনন্দ মোহন কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শেখ সজলের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসেনের বিবাদ রয়েছে। এর জেরে শুক্রবার পল্লিকবি জসীম উদ্দীন হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে নাজমুলকে খুঁজতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে কক্ষটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় সজলেল সমর্থকরা।
আরো পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
এ ঘটনায় নাজমুল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রানা ও শেখ সজলসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পরে শনিবার সন্ধ্যার পর নাজমুলের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে কলেজে যান। এ সময় তারা কলেজের সামনে শেখ সজলের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমার কক্ষে ঢুকে রুমমেটদের আহত করেছে, তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। মামলা করায় ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ভাঙচুরের নাটক সাজিয়েছে।’ তবে শেখ সজল বলেন, ‘নাজমুলের কক্ষে মাদক সেবন ও বিক্রি করায় শিক্ষার্থীরা তালা দেয়, আমরা যাইনি।’
এ বিষয়ে পল্লিকবি জসীম উদ্দীন হোস্টেলের সুপার শাহজাহান সাজু বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।