বশির বাংলাদেশের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর: সাদ্দাম
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ইরানের বৈশ্বিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০টি দেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে বিজয়ী হয়েছেন হাফেজ বশির আহমদ। তিনি বাংলাদেশের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, আমাদের শুভেচ্ছাদূত। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণে বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমাদকে ফুলের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদ্দাম বলেন, সাকিব আল হাসান যখন বাংলাদেশের জন্য দাপুটে জয় এনে দেন, নিশাত মজুমদার এভারেস্ট জয় করেন, তারা বাংলাদেশের গর্বের কারণ হন। একইভাবে হাফেজ বশিরও আমাদের গর্ব।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা ও বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির কর্মকাণ্ডের মধ্যে যে কালচারাল গ্যাপ, পার্থক্য ছিল সেটা ঘুচিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা মাদ্রাসাছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এই পদটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সর্বপ্রথম যুক্ত করেছি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ইরানে কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কৃতি সন্তান বশির আহমাদকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বশির আহমাদের জন্য অনেক বেশি শুভকামনা। কারণ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামের প্রকৃত মর্মার্থে বিশ্বাস করে। ছাত্রলীগ প্রতিটি ধর্মের যে সত্য ও চিরন্তনতা সেই শব্দটিতে বিশ্বাস করে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১১০টি দেশের প্রতিযোগিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ঢাকার মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী বশির আহমদ প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের মো.আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও বুশরা চৌধুরীর ছেলে।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের নব্বই দেশের হাফেজদের নিয়ে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বশির তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ২০২১ সালের পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা হাফেজ নির্বাচিত হয়েছিল বশির।