১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৪

জেল থেকে বেরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ফিরিয়ে দিলেন ছাত্রদল নেতা আমান

আমান উল্লাহ আমান  © সংগৃহীত

তিন মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব এবং সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমান উল্লাহ আমান। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েছেন তিনি।

পরে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন আমান। সেখানে উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন। এসময় মিথ্যা এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন বয়কট করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জানতে চাইলে আমান বলেন, দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘদিন কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা সাজা দিয়ে দেশে আসতে না দেয়া, অনেকে নেতাকর্মী নির্যাতিত-নিপীড়িত ও জেলেও আছে অনেকেই। তাই মনে হয়েছে এখন ফুলের মালা গ্রহণ করা উচিত হবে না।

“যেদিন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো, তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে পারবো সেদিন ফুলের মালা গ্রহণ করবো।”

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যায় ‘নেতৃত্ব দেওয়ার’ অভিযোগে ৬ নভেম্বর আমানকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সেসময় সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, গত ২৮ অক্টোবর  বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশের উপর বর্বরোচিত হামলায় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলায় নেতৃত্ব দেন আমান।

পরদিন ৭ নভেম্বর তাকে সাত দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। এরপর ১৪ নভেম্বর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাকে ফের সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তখন তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

এরপর ২০ নভেম্বর  দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।