বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করায় মহাসড়ক অবরোধ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার অনুসারীরা। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও, গ্রেপ্তার আল সামাদ শান্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পরিচিত মুখ। তিনি ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, আল সামাদকে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়া আল সামাদের মুক্তির দাবি জানান। এক পর্যায়ে প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
রফিক নামে একজন পথচারী বলেন, আমি পটুয়াখালী থেকে জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে আটকা পড়েছি এখন এখানে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি নাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, যৌক্তিক দাবি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করা ঠিক না। রাজনৈতিক কারণে মহাসড়ক অবরোধ কাম্য নয়, এতে সাধারণ জনগণ ভোগান্তিতে পড়েন।বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নাম হয়। আমাদের প্রতি মানুষের একটা নেগেটিভ ধারণা সৃষ্টি হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, আল সামাদ নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁর নামে ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা রয়েছে। আল সামাদকে যিনি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন, তাঁর নামেও মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আবদুল কাইউম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যে শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত। তাই বহিরাগত কারও বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হলে সেখানে তো আমাদের কারও কিছু করার নেই। আইন আইনের গতিতে চলবে।’
উল্লেখ্য, গত এক বছরে রাজনৈতিক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যার কারণে অন্তত ১০ বার মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।