ছাত্র সমাজের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহবান ছাত্র ইউনিয়নের
অবিলম্বে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে ছাত্র সমাজের প্রতি এই নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনমূলক ও একতরফা নির্বাচন।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একগুঁয়েমির কারণে দেশ আজকে গভীর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। একতরফাভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ডলার সংকট প্রকট রূপ ধারণ করেছে, রিজার্ভ প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ভুল পদক্ষেপ বাংলাদেশকে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিবে।
“একতরফাভাবে নির্বাচন আয়োজন করায় জনসাধারণের ভেতর নির্বাচন নিয়ে অনুভূতি নেই। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার যে হরণ করা হল তা এখনও ফিরিয়ে আনা যায়নি। জনগণ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ২০১৪, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় বসেছে, এবারও তারা একই নীলনকশা বাস্তবায়ন পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশ তরুণ। তরুণদের নির্বাচন নিয়ে কোনো আশা নেই। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে, যার দরুন তরুণদের একটি বড় অংশই বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তা করছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি, উক্ত সংকটসমূহ নিরসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন অতীব জরুরি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমরা অবিলম্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আহবান জানাই।
“একইসঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচনে টাকা এবং পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে একটি টেকসই নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানাই।”