০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছাত্রলীগ লোগো   © সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের এই দিনে (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়।

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

সংগঠনটির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে বছরব্যাপি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানারকম কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে উদযাপন করে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারে ভিন্নভাবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর যাবতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

‘‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে নিয়মিত কর্মসূচির পাশাপাশি এবছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে বাংলার মানুষ, ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ—তার স্মারক হিসেবে এই শোভাযাত্রা আয়োজিত হবে।’’

সাদ্দাম বলেন, দেশের ছাত্রসমাজ, কিশোর-তরুণ-যুবক, নতুন ভোটারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আগামী ৪ জানুয়ারি এই শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। এর মাধ্যমে তারা আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট উৎসবের জন্য, সমৃদ্ধি-অগ্রগতি উন্নয়নের মার্কা নৌকার জন্য তাদের অকুন্ঠ সমর্থন জানাবে।

ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মসূচিসমূহ হলো- আজ ৪ জানুয়ারি সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৮ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।

আজ সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও ‘ভোট উৎসবের জন্য’, ‘নৌকার জন্য’, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য’, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য’ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সুবিধাজনক সময়ে ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পুনর্মিলনী আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।