২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৪

‘ডাকসু হামলাকারীদের বিচার না করে পুরস্কৃত করা হয়েছে’

ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে হামলাকারীদের বিচার না  করে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্রঐক্যের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম আদীব।

ডাকসুতে ‘ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলার’ ৪ বছর উপলক্ষে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচি থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানানো হয়েছে।

আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, পাকিস্তানের সময়েও ডাকসু ভবনে সরাসরি হামলা হয়নি, সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সরাসরি নৃশংস হামলা করেছে। হামলায় তখন আমার জিডনি ও চোখে মারাত্মক জখম হয়েছিল। ভিপি নুরের মেরুদণ্ড ফ্র্যাকচারসহ অনেকেরই এখনো দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা চলছে।

আদীব অভিযোগ করে বলেন, হামলায় জড়িতদের বিচার না করে উল্টো ছাত্র পরিষদের নামে মামলা হয়েছে। তখনকার হামলায় নেতৃত্বে দেওয়া সাদ্দাম হোসেন পরবর্তী সময়ে পুরস্কার হিসেবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েছেন। আমরা ক্যাম্পাসে ডাকসুসহ সব হামলার বিচার নিশ্চিতে লড়াই জারি রাখব।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবাইরুল আলম, প্রচার সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আসাদ বিন রনি, তিতুমীর কলেজ সভাপতি আফতাব মাহমুদ ও ঢাকা কলেজের রাকিব হোসেন প্রমুখ।

এর আগে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনের ভিপি নুরুল হক নুরের রুমে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর, আদীব, নাজমুলসহ ২৯ জন আহত হন। এসময় হামলায় গুরুতর আহত হন ভিপি নুরসহ তার অনেক সহযোগী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা শাহবাগ থানা বাদী হয়ে একটি মামলা করলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজনকে আটক করা হয়, পরবর্তী সময়ে তাদের জামিন হয়।

হামলার ভুক্তভোগী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, সেদিন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাদ্দাম হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আল মামুনদের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার হাতে ১৮টি সেলাই লেগেছে। ফারবী আইসিইউতে ছিল। ভিপি নুরসহ অনেককেই চরমভাবে আহত করা হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বিচার তো পরে কোনো তদন্তও হয়নি। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই।