২৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:০২

রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রদলের ভাঙচুর

পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলায় তছনছ হয়ে যায় রাজশাহী বিএনপির কার্যালয়।  © সংগৃহিত

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা এ ভাঙচুর চালায় বলে জানা যায়।

এর আগে রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর ছাত্রদলের নতুন ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেন পদবঞ্চিতরা। তবে সন্ধ্যায় সেই তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন নতুনর কমিটির নেতাকর্মীরা।

শনিবার রাতে মহানগরীর সাংগঠনিক ছয় থানা এবং তিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা দেয় নগর ছাত্রদল। কমিটিতে অযোগ্যদের স্থান দেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে কমিটি থেকে বাদ পড়া দলের কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সোমবার দুপুরে রাজশাহী নগর বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা এক আলোচনা সভা করছিলেন। এ সময় সেখানে হামলা চালায় পদবঞ্চিতরা। দুই পক্ষের হাতাহাতির এক পর্যায়ে কার্যালয়ের জানালার কাঁচ এবং বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। তছনছ করে দেয়া হয় পুরো কার্যালয়।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লিমন বলেন, ‘রোববার রাতে আমরা নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বাসায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। তিনি রাজনৈতিক চর্চার জন্য আমাদের দলীয় কার্যালয়ে বসতে বলেছিলেন। সে অনুযায়ী আমরা বসেছিলাম। তখন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে আমাদের বের করে দিয়ে তারা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।

এমদাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, দলীয় কার্যালয়ে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সঙ্গে চলাফেরা করেন। এছাড়াও হামলায় কতিপয় যুবদল নেতা ও বহিরাগতরাও ছিলেন। পদবঞ্চিতরা তাদের দিয়ে পরিকল্পনা করে এই হামলায় ঘটিয়েছে।

রোববার দলীয় কার্যালয়ে তালা দেয়ার সময় নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আরিফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। সোমবারের ভাঙচুরের খবরে তিনিও কার্যালয়ে যান।

তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় সেখানে কাউকে পাননি।

আরিফুজ্জামান বলেন, নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা সভা করছিলেন। ওই সময় আমাদের ছেলেরা গিয়ে তাদের বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তখন নতুন কমিটির নেতারা আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত তোলে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এটা দুঃখজনক।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই দলীয় কার্যালয় ছেড়ে দুই পক্ষই চলে যায় । এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।