রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চায় বিএনপি: সাদ্দাম

ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ
ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। সুতরাং কেউ যদি ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে, তাদেরকে ‘গো ব্যাক পাকিস্তান’ বলুন।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, বিভিন্ন স্থানে হামলা, বাসে আগুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

সাদ্দাম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেমন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমণ করেছে, বিএনপি একই কায়দায় সেখানে হামলা করেছে। যারা আক্রমণ করেছে, তারাই আজকে আবার হরতাল ডেকেছে। আমরা যেমন গায়েবানা জানাযা দেখি, বিএনপি তেমন গায়েবানা আন্দোলন করে। লন্ডনে বসে আরেকজন (তারেক রহমান) এসব আন্দোলনের নির্দেশ দেন৷ 

তিনি বলেন, গণমাধ্যম কারও পক্ষ হয়ে কাজ করে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের উপরও হামলা চালিয়েছে। সংবাদ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ হয়ে ফিরে এসেছে। তারা ভয় পেয়েছে, গণমাধ্যম যদি সঠিক সংবাদ তুলে ধরে তাহলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাজপথের মালিকানা ছাত্রলীগের। আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বিএনপি প্রত্যেকবার আন্দোলনের নামে রাজপথে নামে জানমালের ক্ষতি করে, সরকারি সম্পদের ক্ষয় সাধন করে, জনমানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। বিএনপি তার অতীতের আচরণ আবার গতকাল তাদের কাজকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে।  তারা নির্মমভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় আনাদের পুলিশ ভাইদের উপর আক্রমণ করেছে। তারা সংবাদকর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে। এধরনের নির্লজ্জতা বিএনপি বারবার করেছে। তাদের যে অতীতের আচরণ, ২৮ অক্টোবর বিএনপি তাদের অতীত আচরণের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমরা তাদেরকে ২০০৯ সালে প্রথম গোল দিয়েছি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় গোল দিয়েছি। ২০১৮ সালে হ্যাট্রিক করেছি। আশা করি এবার এক হালি পূরণ করবো। 

ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে বিএনপি তাদের কর্মীদের আন্দোলনের বড়ি খাইয়ে খাইয়ে তাদের কর্মীদের নেশাতুল চোখ নিয়ে গতকাল তারা সরকার পতনের একদফা দাবি নিয়ে ঢাকাতে অবস্থান কর্মসূচির নামে যে সন্ত্রাস কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ গতকাল আমরা দেখেছি। বিএনপির দমন-পীড়নের রাজনীতির কারণে মানুষ তাদেরকে বর্জন করেছে। তারা পূর্বের মতো বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করতে চাইছে। ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করবে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সজল কুন্ডসহ ঢাবির হল ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।


সর্বশেষ সংবাদ