মির্জা ফখরুলকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট সরালো ছাত্রলীগ
সমালোচনার মুখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা একাধিক ফটোকার্ড ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ব্যাঙ্গাত্মক এসব ফটোকার্ড আপলোড করা হয়েছিল। কিছু সময়ের পর ওই পেজে ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফ্যাক্টচেক সংশ্লিষ্টরা বলছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র জেনেশুনে ভুয়া খবর ছড়াবে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও দল। এটা তাদের রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনের একটি অংশ। এটি তেমন একটি ভুয়া খবর।
এ পোস্টটির বিষয়ে এএফপির ফ্যাক্টচেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির ফেসবুকের এক পোস্টে লিখেন, আগামী ইলেকশনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে ডিসইনফরমেশন কিভাবে ভূমিকা রাখবে বা ইতোমধ্যে রাখছে তার একটি চমৎকার উদাহরণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে করা এই পোস্টটি। গত সপ্তাহে বিরোধী দলের মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য হিসেবে একটি ভুয়া উক্তি ফেসবুকে ছড়ানো হয়। উক্তিটি হচ্ছে "আগামী ১৮ অক্টোবরের সমাবেশে সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে হাতে চুড়ি পরবো"।
তিনি আরও লেখেন, বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ড এডিট করে তাতে ভুয়া উক্তিটিকে বসিয়ে প্রচার করা হয়। পরে প্রথম আলো জানায় ফখরুলের বক্তব্য সম্বলিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। তারা এমন কিছু প্রচার করেনি। অন্য কোথাও ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রচারিত হয়নি। অর্থাৎ, এটি মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে একটি জেনেবুঝে ছড়ানো ভুয়া খবর বা ডিসইনফরমেশন।
“এরপর আজ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজে মির্জা ফখরুল সেই ভুয়া উক্তিটিকে রেফার করে ব্যাঙ্গাত্মক একটি কোলাজ পোস্ট করা হয়েছে। মানে, পেজটি থেকে এই ধারণা দেয়া হচ্ছে যে, ফখরুল আসলেই বক্তব্যটি দিয়েছেন। তো, ফখরুলের বিরুদ্ধে ডিসইনফরমেশন ছড়ানোর বাইরেও এই কোলাজটি সিরিয়াসলি প্রবলেমেটিক জেন্ডার পারসপেক্টিভ থেকে।”
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই পেজে অনেকজন এডমিন রয়েছে। এই পোস্টটি কে ডিলেট করেছে জানিনা। আমি সারাদিন বাহিরে ছিলাম। এ সময় তিনি এই পোস্টটি দেখিনি বলেও দাবি করেন।