খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাবিতে প্রতীকী অনশন
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জিয়া পরিষদ। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় রাবি শাখা ছাত্রদল, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, অফিসার, মাস্টার রোলের কর্মচারী ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা একাত্মতা পোষণ করে এই প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী সরকারের মিথ্যা মামলায় বাকশালী আদালতের ফরমায়েশি রায়ে গৃহবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ড অতিসত্বর বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দেওয়া সত্ত্বেও সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি প্রদান করেনি। তাঁকে সুকৌশলে পরোক্ষভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। সরকারের অসহযোগিতামূলক আচরণে যদি বেগম খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে তাহলে ছাত্রদল বসে থাকবে না। আমরা তার চিকিৎসার দাবিতে প্রতীকী অনশন করছি। তবে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ম্যাডামকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক স্কুলে ২৪ অক্টোবর ভর্তি আবেদন শুরু, শেষ ১৪ নভেম্বর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আসলাম মৃজা বলেন, এই সরকার বেগম খালেদা জিয়ার কোনো উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে না। গত ১৫ বছর ধরে এই ফ্যাসিবাদী সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকার এভাবে করতে থাকলে আমরা সারাদেশে বিক্ষোভ করব।
জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, আমরা ভেবেছি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী যে আন্দোলন হয়েছে সেটা হয়তো সরকার মেনে নিবেন। কিন্তু সরকার না মানায় রাবি জিয়া পরিষদের নেতৃত্বে প্রায় ১০০ জন শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদল সবাই আমাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অনশন পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি ও অনশনের মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।
সরকার তাদের দাবি না মানে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাহলে আমরা আমরণ অনশন পালন করব। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমরা দেশের বুদ্ধিজীবী। আমরা দেশের জনগণের মানবতার কথা জানি, দেশের মানুষের মুক্তির কথা জানি।
শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন রাবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা রফিকুলসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক।