০৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৭

‘সুস্থ’ শ্রাবণ ছাত্রদলের পদে ফিরবেন কবে?

কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছাত্রদলের লোগো  © টিডিসি ফটো

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন করছে বিএনপি। মূল দলের পাশাপাশি আন্দোলনে মাঠে রয়েছে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। নেতাকর্মীদের ভাষ্য, তাদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু ছাত্রদলের শীর্ষ পদ নিয়ে নতুন করে নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে গত ৮ আগস্ট নিয়মিত সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে।

সম্প্রতি শ্রাবণ 'সুস্থ' হয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। নিয়মিত নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে আসছেন৷ নেতাকর্মীদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু এখনো তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন না। সর্বশেষ, বিএনপি ঘোষিত তারুণ্যের রোড় মার্চ কর্মসূচিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার শরীরের খোঁজ-খবর নিয়েছেন। কাজ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ, রাজু ভাস্কর্যে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল

জানা যায়, ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে দেরিতে উপস্থিত হওয়ার অজুহাতে 'অসুস্থ' দেখিয়ে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় শ্রাবণকে। সূত্র জানায়, একই অভিযোগ আরো বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ছাত্রদল একটি 'সিন্ডিকেট' দ্বারা পরিচালিত হতো। ছাত্রদলের সাবেক কয়েকজন নেতা এই সিন্ডিকেট তৈরি করেন। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ছাত্রদলের দায়িত্ব দিয়ে নিজেদের মতো করে সংগঠন পরিচালনা করতেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিন্ডিকেট ভেঙে প্রথমে ভোটের মাধ্যমে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে নির্বাচিত করেন। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি ও সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন ৷

নেতাকর্মীরা আরও জানান, সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ায় মনঃক্ষুণ্ন হন সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণকারীরা। তারা শ্রাবণ-জুয়েল কমিটিকে বিতর্কিত করতে তৎপরতা শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ সরকার বিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে শ্রাবণকে সরিয়ে দেয়ায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে বলে অভিযোগ নেতাকর্মীদের। তাদের দাবি, নিয়মিত সভাপতিকে দায়িত্ব দিলে আন্দোলন আরো গতি পাবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সভাপতি যদি সুস্থ হয় তাহলে তিনি ফরমালি পার্টিকে জানাবেন। পার্টি তাহলে ব্যবস্থা নেবে। 

এসব বিষয়ে জানতে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বকুল এর ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।