‘ঢাবির গণরুমে ছাত্রদের প্রতিভাকে কবর দেওয়া হয়’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণরুমে ছাত্রদের প্রতিভাকে কবর দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’র ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। সোমবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, গেস্টরুম-গণরুম নির্যাতন ও প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিটে নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিক র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে, এর একমাত্র কারণ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীরা থাকার জন্য বৈধ সিট পায় না। ফলে গেস্টরুম-গণরুমে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে তাদের নির্যাতিত হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হয়। গেস্ট রুমের নির্যাতনের ফলে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গণরুমে বসবাস করে, গেস্টরুম করে এবং এমন অখাদ্য খেয়ে দেশের মেধার বিকাশ সম্ভব না। গেস্টরুম-গণরুমের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, পৃথিবীর বুকে একটা রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দেয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে যে ডাল দেওয়া হয়, সেটা দিয়ে ওযু , গোসল সবই করা যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুম এবং গণরুম মেধাবীদের কবরস্থান। প্রথম বর্ষের ছাত্র হাফিজ মোল্লা, আবু বকরের কথা আমরা জানি। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ এর কথা আমরা জানি। তারা সবাই গেস্টরুম নির্যাতনের শিকার হয়ে কবরবাসী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪ মাস সংসারের পর ‘স্ত্রীকে অস্বীকার’ রাবি ছাত্রলীগ নেতার
সাংবাদিক সমাজকে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে ১৫ বছর ধরে দেশে অপশাসন চলছে। সরকারের দালালি না করে জনগণের মতামত মিডিয়ার কাছে তুলে ধরুন।’
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাহবুব নাহিয়ান বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হলেও সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়নি। মানুষের স্বাধীনতার জন্য যেই লড়াই চালিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল এখন সেই স্বাধীনতা নেই। সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এজন্য শুধু ঢাবি নয় সারাদেশের সকল ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আহসান মারজানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন, ঢাবি শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।