‘নিরপরাধ কর্মীদের’ নামে করা মামলা প্রত্যাহার চায় চবি ছাত্রলীগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলার নিন্দা জানিয়ে প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এ স্মারকলিপিতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু স্বাক্ষর করেছেন।
স্মারকলিপিতে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানান। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাটলে শিক্ষার্থী আহতের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। শাটলের সংকট ও অপব্যবস্থাপনার জন্য এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে গণজোয়ারে রূপ নেয়।
‘‘সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় কিছু বিশৃঙ্খলাকারী আন্দোলনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনসহ অন্যান্য সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালায়।’’
এতে আরও বলা হয়, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসন মামলা করে। কিন্তু সেই মামলা দায়ের করা হয় কতিপয় নিরপরাধী এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর। যা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিপীড়নের শামিল।
প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, নিরপরাধ এই শিক্ষার্থীদের ওপর অবিচার ও ভিত্তিহীন মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সেইসঙ্গে অনতিবিলম্বে নিরাপরাধ ছাত্রলীগ কর্মীদের হেয়প্রতিপন্ন করা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: চবির তাণ্ডবে জড়িত ছাত্রলীগের ৩টি গ্রুপ, আসামি ১৪
একইদিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. মুমিনুল ইসলাম মিশু স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতে প্রশাসন বরাবর সাত দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- শাটল দুর্ঘটনায় আহত সকল শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করা; অনতিবিলম্বে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ভিত্তিহীন মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে; সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে;
৭ তারিখের শাটল দুর্ঘটনার গাফিলতি বা অপব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন ও জড়িতদের শান্তির ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে; শাটলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিডিউল বৃদ্ধি করতে হবে; শাটল ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ও শাটলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার দাবিতে চবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এর কোনো সমাধান না করেন, তাহলে আগামী রোববার থেকে নেতাকর্মীরা কঠোর অবস্থানে যাবেন।