১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৭

থানায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধর

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধর  © সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। তবে এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। মারধরে শিকার দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম। তারা দুজনে নিজ নিজ হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বেও রয়েছেন। মারধরের পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’ নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।

দুই নেতাকে মারধরের ঘটনা তদন্ত হচ্ছে

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।