রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলে পদ হারাতে যাচ্ছেন ছাত্রদল নেতারা
সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের ডজন খানেক নেতার পদ স্থগিত করেছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৫ দিনের মধ্যে দপ্তরে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান সরকারবিরোধী এক দফার আন্দোলনে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। বিএনপির হাইকমান্ড থেকেও এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে সংগঠনটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকেও সরিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়েছে।
শাস্তির আওতায় আসা নেতারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হোসাইন রুদ্র, রফিকুল ইসলাম শেখ সোহেল, জয়নুল আবেদীন, রুবেল হোসেন এবং সদস্য আনোয়ার হোসেন, মো. নেহাল, নাজমুল হাসান রাজু, আমিনুল ইসলাম ফুয়াদ ও আকাশ মিয়াজী।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া ও দলীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রমতে, বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। মূলত সর্বশেষ ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া ও দলীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ওই কর্মসূচিতে রাজধানীর আশপাশের মধ্যে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট দলটির হাইকমান্ড। এছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কয়েকজন ও যুবদলসহ অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি বলেও প্রমাণ পেয়েছে হাইকমান্ড।
মূলত বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতৃত্বকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সে জায়গায় এ আন্দোলনে তাদের উপস্থিতি আশানুরূপ নয় বলে মনে করে বিএনপি। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজকে লড়াই, সংগ্রাম, যুদ্ধ সবই করতে হবে তরুণদের। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তরুণদের উপস্থিতি কম, বিষয়টি ভাবতে হবে। কারণ তরুণদের ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়।