রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশকারীদের পাকিস্তানে পাঠাতে হবে: সৈকত
রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশকারীদের পাকিস্তানে পাঠাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি দেশের জনগণের করের টাকায়। দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা তাদের জন্য লড়াই সংগ্রাম করবো। যারা রাজাকারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাদের পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭আগস্ট) দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত '২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ও স্বাধীনতাবিরোধী- যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন-আস্ফালনের' প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের পদযাত্রা ও সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন ছাত্রলীগের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুনঃ তারেককে ফেরাতে ঢাকা-লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করতে চায় ছাত্রলীগ
এসময় তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে অসাম্প্রদায়িকতাকে হত্যা করে বিএনপির জন্ম হয়েছে। তারা নিজেদের স্লোগান হিসেবে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' বলে। তারমানে বাংলাদেশ কি ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলায় ব্যাক করবে? নাকি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ব্যাক করবে?
সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছিলেন জিয়াউর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যায় ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নৈতিক আদর্শে বলিয়ান। আমাদের অদম্য শক্তির সাথে রাজপথে না পেরে আমাদের দমন করার জন্য হামলার মাধ্যমে আমাদের দমন করার চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তারেককে দেশে ফেরাতে ঢাকা- লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিবে মন্তব্য করে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, অনতিবিলম্বে ১৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ২১ আগস্টের বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা- লন্ডনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিবে তবুও আইনের শাসন বাস্তবায়ন করুন।