মধ্যরাতে ঢাবির রোকেয়া হলে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেত্রীকে কক্ষছাড়া
মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রূপাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে কক্ষছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইনের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ নাম্বার রুমে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মারধরের পর তাকে টেনেহিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে তার কাপড় চোপড়া ও জিনিসপত্র বাইরে রাখা হয়েছে।
রূপা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং রোকেয়া হল ছাত্রলীগের কমিটির পদপ্রত্যাশী। আর আতিকা বিনতে হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ‘মাইম্যান’ হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, হলের কক্ষ সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। রূপার ভাষ্যমতে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেনের নির্দেশে তার ৮-১০ অনুসারী মিলে এই হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্ব দেয় হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিহা মাহুব ঐশী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপর্ণা রায় এবং ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা পারভীন।
এ ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা রূপা বলেন, আমি রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি এবং আগামী কমিটির ক্যান্ডিডেটও। ১১২১নং রুম থেকে আতিকা আপুর ৮-১০ জন মেয়ে জিনিসপত্র আগেই ফেলে দিছে। ওরা রুমের সামনে সাড়ে দশটা থেকে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্তও তারা এখানে আছে।
তিনি বলেন, এর আগে ৮-১০ জন মিলে অমানুষের মতো আমাকে রুম থেকে টেনেহিচড়ে নিয়ে গেছে। আমি প্রচন্ডভাবে ইনসিকিউরড। হাতে ব্যথা ও কথা বলতে পারতেছি না। আমি এখনও রুমের বাইরে বসে আছি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন বলেন, আমি আসলে কিছু জানি না। আমাকে এক সাংবাদিক ফোন দিয়েছিলেন। ওর কাছ থেকেই আমি জানতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রভোস্ট ম্যামকে অলরেডি ফোন দিয়েছি। ম্যাম আসলে এটা তিনি সমাধান করবে। আর আমি তো এখন সেন্ট্রালে মুভ করতেছি। হলের বিষয়গুলো দেখার সুযোগ আমার নেই। এজন্যই আমি প্রভোস্ট ম্যাম ও হাউজ টিউটরকে ফোন দিয়েছি। ওনারা আসতেছে। আর সামিহা আমার দিকে রাজনীতি করে ও রূপা হলো সেক্রেটারি প্যানেলের।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাকে একাধিক কল ও মেসেজ পাঠানো হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।