১৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:২৩

ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জাবির মাত্র একজন

জাবি শাখা ছাত্রলীগের একজন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগ উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ ইউনিটের নেতাকর্মীরা। আংশিক কমিটি ঘোষণার প্রায় আট মাস পর গত ১৩ জুলাই ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সদ্য ঘোষিত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র একজন সাবেক নেতা স্থান পেয়েছেন। তিনি হলেন- উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক পদে হামজা রহমান অন্তর। তিনি ছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদপ্রত্যাশী ছিলেন।

এর মধ্যে মাহবুবুল হক রাফা, আলম শেখ, নীলাদ্রী শেখর মজুমদারসহ আরও অনেকের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছিল। তবে তারা পদ পাননি। এর আগে বিগত কমিটিতেও প্রথম দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দু’জন পদ পান। যদিও পরে আরও কয়েকজনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্যপদ দেওয়া হয়।

এদিকে কমিটি ঘোষণার খবর প্রকাশিত হবার পর ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, বরাবরের মতো এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মেধাবীরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারাবেন বলে দাবি তাদের।

‘কেন্দ্রীয় কমিটি হয়তো জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজনকে মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু আমরা এ শাখার কর্মী হিসেবে জাতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানাই, তারা যেন আমাদের দিকে আরেকটু সজাগ দৃষ্টি দেন এবং আমাদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করেন।’-শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল

শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ৩০০+ কমিটির মধ্যে নেতা হয়েছেন ২২৬+ জন। অথচ অনেক জেলায় একজন খুঁজে পাওয়া কঠিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত কমিটিকে অভিবাদন।’

তিনি আরও লিখেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক যে, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বা জেলার কর্মীদের দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতিতে মেধা, শ্রম, ঘাম, জীবন, যৌবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় দেওয়ার মূল্যায়নের সুযোগ নাই/হচ্ছে না। রাজনীতিতে ভবিষ্যৎ ক্রাইসিস হচ্ছে  বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটছে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটির পরিধি থেকে বের হওয়া জরুরি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে আমরা জাবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানাতে চাই, আমাদের কর্মীরাও অনেক যোগ্য, মেধাবী ও কর্মঠ। আমরা বিশ্বাস করি যে, কেন্দ্রীয় কমিটি সে যোগ্যতার মূল্যায়ন করবে। এছাড়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা সে বিষয়ে অবগত আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি হয়তো জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজনকে মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু আমরা এ শাখার কর্মী হিসেবে জাতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানাই, তারা যেন আমাদের দিকে আরেকটু সজাগ দৃষ্টি দেন এবং আমাদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করেন।’