বিএনপি আমলে বিসিএসের জন্য বিশ্বকাপের মতো অপেক্ষা করতে হতো: সাদ্দাম

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন  © ফাইল ছবি

বিএনপি-জামায়াতের আমলে এক বিসিএসের জন্য ফিফা বিশ্বকাপের মতো চার বছর অপেক্ষা করতো হতো বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেছেন, এসব পরীক্ষায় ছাত্রদলের ক্যাডার হলে তাদের চাকরি পাওয়ার একটা নিশ্চিয়তা ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে রীতিমতো এক্সাম সেন্টার বানিয়ে তারা এসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতো।

বৃসহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলার টকশো অনুষ্ঠান ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদ্দাম বলেন, আজকে আইবিএ থেকে পাস করা একজন শিক্ষার্থী, বুয়েট থেকে পাস করা একজন শিক্ষার্থী—তাদেরও সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এটার অন্যতম বড় একটি কারণ হচ্ছে, এ সরকার মেধাভিত্তিক, দক্ষতাভিত্তিক, যোগ্যতাভিত্তিক চাকরির পরীক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছে। শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণও কিন্তু এটি। 

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রপাঠ করে সাদ্দামের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, ‘ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনটি কাজ করছে নাকি শেখ হাসিনাকে ও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কাজ করছে’?

প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর, শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি নিশ্চিত করা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হয়, আমরা যেন বিশ্ব মানচিত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারি—সেটির জন্য আমরা কাজ করি।

আরও পড়ুন: চাকরি স্থায়ীকরণের আগেই খালি হাতে অবসরে অনেক শিক্ষক

‘‘ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে নয়, একজন সচেতন তরুণ হিসেবে যেটি মনে করি, দেশের তরুণ সমাজের ভাগ্য, শিক্ষার্থীদের ভাগ্য—এসব কিছু শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’’

শিক্ষায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে সাদ্দাম বলেন, আমরা এমন একটা সরকারের সময়ে লেখাপড়া করতে পারছি, যে সরকারের শিক্ষা বাজেট আগের সরকারের পুরো বাজেটের চেয়ে বেশি। যে সরকারের আমাদের কারিগরি শিক্ষাকে ১ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশে উন্নীত করেছে। আমরা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গণমুখী শিক্ষার জন্য যুগে যুগে লড়াই করেছি। আজকে আমাদের সব শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় এসেছে।

তিনি বলেন, বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের বই নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকের তরুণরা প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হচ্ছে, দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে, কর্মসংস্থানে তৈরি করতে পেরেছে। শুধুমাত্র চাকরি করছে না, নিজেরাও চাকরি দিতে পারছে। সরকারি চাকরি মেধাভিত্তিক হওয়াতে আমাদের যে আগ্রহ বেড়েছে, এটি শেখ হাসিনা সরকারের আইনের শাসন, দূরদর্শী এবং তারুণ্যদীপ্ত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন সাদ্দামের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন ছাত্রলীগ করার উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে সরকারি চাকরিতে একটি ভালো সুযোগ পাওয়া। অনেকে গর্ব করে বলছেন আমরা ছাত্রলীগ করছি। প্রয়াত এইচএটি ইমামকে উদ্দৃত করে খালেদ মহিউদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ যারা করেছে তারা চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে।

খালেদের প্রশ্নের জবাবে সাদ্দাম বলেন, এটির কোনো প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভি কমিশনে আপনি নিজেও খোঁজ নিতে পারেন। এছাড়া চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের থেকেও আপনি জানতে পারেন—এই সরকার শতভাগ দক্ষতা-যোগ্যতা-মেধার উপর ভিত্তি করে আজকে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে পেরেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ