বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি শিগগির: ইনান

শীঘ্রই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে
শীঘ্রই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে  © ফাইল ফটো

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রলীগের কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে। বুধবার (১৭ মে) রাতে মুঠোফোনে এ তথ্য জানান তিনি।

শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাস্তবায়ন হয়েছে। মুজিব আদর্শের চেতনার একটি অভেদ্য ঘাটি গড়ে তোলার জন্য অচিরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার জন্য সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ইউনিট একটি নবীনতম ইউনিট।এই শাখাটিকে সাংগঠনিক গতিশীলতা ত্বরান্বিত এবং জোরদার করার জন্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর।ইতোপূর্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিলো। কিন্তু নানামুখী জটিলতা,রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আঞ্চলিক নানান ইস্যুর কারণে সেটি গঠন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। তবে দৃঢ়চিত্তে তিনি বলেন, অতিশীঘ্রই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন জানান, অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে ইউনিটগুলোর কমিটি দেওয়া হবে। সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগিরই আমরা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেবো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পার করলেও হয়নি ছাত্রলীগের কমিটি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ১১১তম সাংগঠনিক ইউনিট হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ এখনও ছাত্রলীগ কমিটির মুখ দেখেনি এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনার কমতি নেই। তবে এবার কি কমিটি পাবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ?

আরও পড়ুন: পরিবহন সমস্যা সমাধানে ববি ছাত্রলীগের যুগান্তকারী পদক্ষেপ

এসব বিষয় ববির শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী, অপরটি সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী। এসব অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে বিচ্ছিন্নতা। আবার অনেকে জড়িয়ে পড়েছিলো বিভিন্ন অপকর্মে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অনেকে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত। কমিটি না থাকার কারণে যারা অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না সাংগঠনিক ব্যবস্থা। ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করেন তারা। অধিকাংশ  ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে হওয়াতে এসব ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ