তারেক-জোবায়দার বিচার শুরুর প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
২০০৭ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডাঃ জোবাইদা রহমান বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা মামালায় আইজীবীদের মাধ্যমে আইনি লড়াইয়ের আবেদন খারিজ এবং বিচার শুরুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদের নেতৃত্বে রাজধানীর মিরপুর বিআরটিএ’র সামনে থেকে শুরু হয়ে মিরপুর ১০ গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদ বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে আদালতের মাধ্যমে ফরমায়েশি রায় দিয়ে যাচ্ছে; এসব করেও তাকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না, কারণ শহীদ জিয়ার সৈনিক প্রতিটি ঘরে ঘরে আছেন।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদল নেতা মো: পারভেজ খাঁন, মোঃ রাসেল, রাকিব, শিমুল মোল্লা, তানজিল হোসেন ফাহিম, মিরপুর থানা ছাত্রদল নেতা আসাদুদ জামান রাব্বি, মো: অনুজসহ প্রমুখ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরুর জন্য অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে, তারেক ও জোবাইদার পক্ষে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনটি নামঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিন জনের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় অভিযোগপত্র।
এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।