মধুর ক্যান্টিনে মাসব্যাপী ছাত্রলীগের ফ্রি ইফতার, সবার জন্য উন্মুক্ত
পবিত্র রমজানে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে ছাত্রলীগ। ইফতার কর্মসূচি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নেতৃত্বে এই মাসব্যাপী অসহায়-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির। এসময় বিভিন্ন হল শাখার বর্তমান সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ইফতারে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অন্তত ৬০০ শিক্ষার্থী ও অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য এই ইফতারের আয়োজন করলেও মাসজুড়ে ২৫০ জনের ইফতারির ব্যবস্থা করবে বলেও জানা যায়। ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে ত্রিপল বিছানো রয়েছে যেনো সবাই বসে ইফতার গ্রহণ করতে পারে। আবার ইফতার দেওয়া হচ্ছে বক্সে করে ফলে কেউ বসে খেতে সাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে চাইলে সাথে নিয়েও যেতে পারে। প্রতিদিনের ইফতারিতে দেওয়া হচ্ছে ছোলা, মুড়ি, চপ, পিয়াজু, খেজুর শরবত সহ নানা রকম পদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে
ইফতার পাওয়া প্রসঙ্গে জসীমউদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাইরে থেকে ইফতার কিনে খেতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। আবার সাহরি ও রাতের খাবারে গলাকাটা দাম রাখা হয়। ছাত্রলীগের এই উদ্যোগে ফ্রি ইফতার পাওয়ায় কষ্টটা কিছু লাঘব হয়েছে। ছাত্রলীগের এমন মহতী উদ্যোগ সত্যিই অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।
জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ বলেন, সৈকত ভাই, যিনি একজন মানবিক নেতা, শিক্ষার্থী বান্ধব ছাত্র নেতা। তিনি সেই করোনা মহামারীর সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘ কর্তৃক 'Rela Life Hero' উপাধি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে সিলেট, সুনামগঞ্জের বন্যায় অসহায় মানুষের সহায়তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে গেছেন। বর্তমানেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মধুর ক্যান্টিনে পুরো রমজান মাসজুড়ে ইফতার বিতরণের আয়োজন করেছেন যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক অস্থিরতা, দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ যেখানে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে, সেখানে ছাত্রলীগ এক বেলা ইফতার নিয়ে মাসব্যাপী এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসময় তিনি তিরমিজি শরীফের একটি হাসিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি কোনও রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে।
ইফতারির অর্থায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, কখনও আমি বা ইনান ভাই দিচ্ছি। আবার এই মহান উদ্যোগে ছাত্রলীগের বর্তমান সাবেক ছাত্র নেতারাও আর্থিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে।