রাবি প্রশাসনের ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো: ছাত্রশিবির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ এবং আহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। পাশাপাশি এ ঘটনায় সংগঠনটি রাবি প্রশাসনের ভূমিকা নীরব দর্শকের মতো বলে উল্লেখ করেছে।
আজ রবিবার (১২ মার্চ) ছাত্র শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আহনাফ ফয়সাল ও সেক্রেটারি আহমাদ আব্দুল্লাহ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র আলামিন আকাশের সাথে বাস ড্রাইভারের ভাড়া নিয়ে বিতর্কের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সংঘর্ষ চলাকালীন প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের মতো। তারা সংঘর্ষ বন্ধে সমঝোতা বা তাৎক্ষণিক কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকাও ছিল অপ্রতুল্য।
তারা আরও বলেন, সিটি মেয়রের সাথে হাত গুটিয়ে বসে থেকে পরে ভিসি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে সমোঝোতার আহ্বানের বিপরীতে প্রশাসনের নির্বিচারে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অন্যদিকে টিয়ারগ্যাসের কারণে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, ধোঁয়ায় রাতে হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারেনি।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্য-সংহতি হলো শান্তির প্রতীক। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয়দের মাঝে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন রয়েছে। এ সম্প্রীতি বজায় থাকা উভয় পক্ষের জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। একই সাথে দায়সারা ভূমিকা পালন বাদ দিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রশিবির।
এর আগে, শনিবার (১১ মার্চ) স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ হয় রাবি শিক্ষার্থীদের। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান, বাহরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং শতভাগ আবাসনের দাবিতে রোববার (১২ মার্চ) সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।