১০ মার্চ ২০২৩, ২১:০৯

শিক্ষার্থীরাই আমার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে: অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন

  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার সঙ্গে বিভাগটির অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দীন খানকে জড়ানো ও ছাত্রলীগের হুমকির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ ভুক্তভোগী ওই অধ্যাপকের পাশে দাড়াঁয়নি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. তানজীমউদ্দীন।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখার ৭ম সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বটতলায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বক্তব্যে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, তানভীর হাসান সৈকত ওখানে( ফেসবুকে) কিভাবে ভয়ংকর উস্কানিমূলক, এমনকি প্রচ্ছন্ন জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।আমি শুধু একটা অংশ বলছি, রক্তের বদলে রক্ত আদায়; জয় বাংলা। জয় বাংলা স্লোগানটাকেও মানুষ খুনের সাথে মিলিয়ে ফেললো।

তিনি আরও বলেন, যে জয় বাংলা’র মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই স্লোগানকে ব্যবহার করে সে একজন শিক্ষককে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে প্রচ্ছন্নভাবে এবং সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো পর্যায় থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়নি কিংবা সেই রাতে আমি নিরাপদ আছি কিনা সেইটাও আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়নি। বরং আমার বিভাগের এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“চাই বাণিজ্যমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা আর দেশজুড়ে গণতন্ত্রের সংস্কৃতি” স্লোগানকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার, সহ-সভাপতি মাঈন আহমেদ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হেল বুবুন। 

সমাবেশ শেষে বিদায়ী কমিটির সভাপতি নিসর্গ নিলয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসুর পরিচালনায় মুনীর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিল অধিবেশনে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার। সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের রিপোর্ট উত্থানের পর কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সাদ আহমেদকে সভাপতি, কাশফিয়া হাসান মৌরিকে সাধারণ সম্পাদক ও রেহমান খালেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে গঠিত হয় ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ।