র্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় র্যাগিং, বুলিং, টিজিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইত্যাদি সংগঠিত হতে দেখা যায় যা একজন শিক্ষার্থীর উপর চূড়ান্ত পর্যায়ের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। একইসাথে তাকে পারিবারিক, সামাজিকভাবেও হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় যা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তরায়। মূলত অজ্ঞতা, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় দুর্বলতা, উশৃঙ্খলতা, তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার, সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামি ইত্যাদি কারণে র্যাগিং, বুলিং, টিজিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সংগঠিত হয়।
এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংগঠিত যেকোন পর্যায়ের র্যাগিং, বুলিং, টিজিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের বিরুদ্ধে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একইসাথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রবিবার ১নং গেট থেকে পদযাত্রা শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। কর্মসূচি চলাকালীন নেতাকর্মীদের হাতে র্যাগিং, বুলিং, টিজিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট বিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন, এজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা র্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আমাদের এই অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক র্যাগিং, বুলিং, টিজিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট একিটি ফৌজদারি অপরাধ। সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই আমাদের এই ক্যাম্পেইন।
এছাড়াও কর্মসূচিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌফিক ইসলাম খন্দকার, নাসিম চৌধুরী, মো: শাহ শাফায়েত আলম আদিব, কৌশিক রায়, মো: সাদমান সাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবরার শাহরিয়ার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হোসেন তালুকদার রাফি, সাফায়েত হক তাইফ, ওয়াকিল বিন নিজাম, মো: মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।