পুলিশ না থাকলেই দৌড়ে পালায় ছাত্রলীগ: জোনায়েদ সাকি
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ পরিচালিত বন্দিশিবিরে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেছেন, সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্রলীগ একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। ছাত্র আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগকে দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখে।
‘শিক্ষাঙ্গনে সরকারি সন্ত্রাস, সহিংসতার বিরুদ্ধে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি সন্ত্রাস চলছে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, পেটোয়া ছাত্রলীগ বাহিনীর হাতে লাঠি, পেছনে পুলিশ। পুলিশ না থাকলেই দৌড়ে পালায় এই ছাত্রলীগ। নিজেদের অতীত ঐতিহ্যের ধারেকাছেও নেই তারা।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না) বলেন, ‘সন্ত্রাস করেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না, এটাই শেষ কথা। পুতুপুতু করার সময় নাই। সংলাপ, একসঙ্গে আলোচনায় বসে কিছু হবে না। তার মানে সংলাপের বিরোধিতা করছি না। পরিবেশ তৈরি হলে সংলাপ হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, যারা টাকা লুট করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে, তাদের ছেলেমেয়েরা কেউ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে না। কৃষকের ছেলেকেই আরেক কৃষকের ছেলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক আবরারকে হত্যা করে আরও ২৫টি ছেলের জীবন ধ্বংসের পথে।
ছাত্রলীগকে লাগামহীন ঘোড়া বলে মন্তব্য করেন গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ও ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। ছাত্রলীগের তাণ্ডব কমছে না। যেখান থেকেই প্রতিবাদ হয়, সেটিকেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।