কলেজ শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে ট্রান্সফারের হুমকির ছাত্রলীগ নেতার
ছাত্রলীগের নেতার হাতে চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের এক শিক্ষক নেতাকে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর দাশের পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করে লিখতে নিষেধ করায় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলামকে পিটুনি দিয়ে ট্রান্সফারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুল ইসলামের মধ্যস্থতায় শিক্ষকের কাছ থেকে ক্ষমা চান ছাত্রলীগ নেতারা। তবে আজ রহস্যজনকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন সুবীর দাশ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়, পারিবারিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি শিক্ষক সমিতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় সরকারি কমার্স কলেজের এক ছাত্র অন্যজন থেকে দেখে লিখছিলেন। তখন দেখাদেখি করতে নিষেধ করেন শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম। এরপর তারা খাতা জমা দিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমকে ডেকে আনেন। তখন পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই জানানোর পর ওই শিক্ষককে পিটিয়ে ট্রান্সফারের হুমকি দেন কাজী নাঈম। এরপর শিক্ষক পরিষদের সুবীর দাশের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনা ঘটে।
প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কমার্স কলেজের সেন্টার মহসিন কলেজে ছিল। পরীক্ষা চলাকালে আমি কমার্স কলেজের এক ছাত্রকে দেখাদেখি করে লিখতে নিষেধ করি। পরে ওই ছাত্র নাঈমকে নিয়ে আসে। তখন কথা কাটাকাটি হয়। রোববার অবশ্য তারা আমার কাছে মাফ চেয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাজী নাঈম বলেন, আমি কারও কাছে মাফ চাইনি। কারণ কোনো শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। ওইদিন কিছু ছাত্রের খাতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই শিক্ষক নিয়েছিলেন। তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি পরামর্শ দিয়েছি প্রিন্সিপাল স্যারকে জানাতে। এ ঘটনার চার-পাঁচদিন পর কেন আমাকে জড়ানো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।