ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে হামলা ছাত্রলীগের
বগুড়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে তিন দফায় হামলা করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়, পিটিআই মোড় ও রহমান নগর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের অভিযোগ, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানায় তারা।
হামলায় আহত হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক মো. সজল, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিবুল্লাহ, শেরপুর উপেজলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি, মাহামুদুল হাসান শাওন, হাসিবুল, আবু সাইদ ও তানিনসহ ১৮ জন। এর মধ্যে রাকিবুল হাসান রকি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বগুড়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান পলাশ জানিয়েছেন, সকালে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন শেষে সাতমাথা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইয়াকুবিয়ার মোড়ে যাওয়ার পর শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর প্রথম হামলা চালায়। তখন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করার পথে সেখান থেকে পিটিআই মোড় ও রহমান নগর যাওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্ব আরও দুই দফায় হামলার চালানো হয়েছে।
তার অভিযোগ, হামলার সময় লাঠিসোটা ও বাঁশ ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে। আমাদের নেতাকর্মীদের তারা রাস্তায় ফেলে অমানুষের মতো পিটিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শেরপুরের সাধারণ সম্পাদক রকির মাথায় বাঁশ দিয়ে গুরুতর আঘাত করা হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা। তিনি জানিয়েছেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ, ছাত্রলীগের কেউ তাদের ওপর হামলা করেনি। তবে শুনেছি তারা সাতমাথায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। তারা এখনো কোনো অভিযোগ জানায়নি।