মঞ্চ ভাঙ্গার ছবি তুলতে গিয়ে লাঞ্চিত একাধিক সাংবাদিক
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্য দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হঠাৎ অনুষ্ঠানের সুদৃশ্য মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এ সময় পড়ে যান কাদেরসহ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা৷ এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোকজন ওঠায় মঞ্চ ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক। মঞ্চ ভাঙ্গার পরপরই ছবি ও ভিডিও করার সময় এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
তাছাড়া এস এ টিভির সাংবাদিক শাহ জামাল খান সৌরভকে লাঞ্চিত করা হয়। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তিনি আহত হন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় ভেঙে পড়লো মঞ্চ (ভিডিও)
ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মী ও দৈনিক কালবেলার ঢাবি প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন বলেন, মঞ্চ বানালেন দুর্বল। আহত অনেকে। ভাঙ্গার সাথে সাথে সাংবাদিকদের অসম্মান। এটাই কি স্মার্ট ছাত্রলীগ?
দৈনিক আমার বার্তার ঢাবি প্রতিনিধি জালাল আহমেদ বলেন, মঞ্চ ভাঙার পর আমি যখন ছবি তুলছিলাম। তখন আমার প্রেস কার্ডটা ছিনিয়ে নেয় এবং প্রেস কার্ডের উপরে যে কভারটা ছিল সেটা ছিড়ে ফেলেছে।
ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য লিটন ইসলাম বলেন, বক্তব্যের সময় আমরা ভিডিও করছিলাম। এমন মূহুর্তে মঞ্চ ভেঙে যায় এবং অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। তখন যাদের কাছে ক্যামেরা ও ফোন ছিল তখন ছবি ও ভিডিও করতে গিয়ে তারা লাঞ্চিত হতে হয়। ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে ববলেন, এই সাংবাদিক ক্যামেরা অফ কর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সদস্য ও বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক আবিদ হাসান রাসেল জানান, স্টেজ ভেঙে পড়ার সাথে সাথে সকল সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে,আমিও ছবি তুলি। অপরাজেয় বাংলার পেছন থেকে আমি তুলে বটতলার দিকে যাওয়ার সময় দুই ছাত্রলীগ নেতা আমাকে বলে ভিডিও, ছবি ডিলেট করো! আমি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও বলে তো কী হয়েছে! দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, ভিডিও ছবি ডিলেট কর! আমি বলি যে আপনি আমাকে এভাবে বলতে পারেন না৷ একপর্যায়ে তারা দুজন দুদিকে চলে যায়। তাদেরকে দেখে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ মনে হয়েছে।