পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৫

  © সংগৃহীত

নবীগঞ্জ শহরে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দৌলা চৌধুরীর নেতৃত্ব বিকেলে ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নবীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে জাহিদুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে চার-পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন।

আরও পড়ুন: শিক্ষা গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়স রাখতে চায় না সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন দেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এতে নাজিমকে আহ্বায়ক করা হয়। এর পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্যাডে জাহিদুলকে আহ্বায়ক করে আরেকটি কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। শহরে উভয় পক্ষ শোডাউন করে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

জাহিদুল দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের 'নাশকতার পরিকল্পনার' বিরুদ্ধে গতকাল তারা শহরে অবস্থান নেন। এ সময় নাজিমের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। তবে নাজিম বলেন, জাহিদুলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) গোলাম মুর্শিদ সরকার বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ