১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:১৬

ঢাবি ছাত্রলীগের যে উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাবে

ঢাবি ছাত্রলীগের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্গত সকল বিভাগের পূর্ববর্তী বছরসমূহের অনুষ্ঠিত হওয়া মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্বলিত একটি অনলাইন প্রশ্নব্যাংক তৈরি করা হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে এক ক্লিকেই যে কেউ এসব প্রশ্নপত্র পেয়ে যাবে। এই উদ্যোগের ফলে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীর কিছুটা চাপমুক্ত থাকবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এই কিউআর কোড সম্বলিত লিংকটি উন্মুক্ত করা হয়। ঢাবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখার উদ্যোগে এই লিংক প্রকাশ করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ছাত্রলীগ তাদের বিশেষ টিমের সহায়তায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকাংশ বিভাগের বিগত বছরের মিডটার্ম, ক্লাস টেস্ট, ফাইনাল পরীক্ষার সকল প্রশ্ন একটি অনলাইন প্রশ্নব্যাংকে (গুগল ড্রাইভ) লিংকে যুক্ত করা হয়। এরপর এটি কিউআর কোড দিয়ে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যেকোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার আগে বিগত প্রশ্ন খোঁজার জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে হবে না। শুধু এই কিউআর কোড সম্বলিত লিংকে প্রবেশ করলেই পেয়ে যাবে সহজেই।

এর সুফল সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, এটি সত্যিই ছাত্রলীগের সুন্দর উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। আগে আমাদের মিড, ক্লাস টেস্ট, ফাইনাল পরীক্ষার আগে সবসময়ই সিনিয়র ভাই আপুদের শরণাপন্ন হতে হতো। কোন ধরনের প্রশ্ন আসবে, কোন ব্যাচে কি প্রশ্ন এসেছে তাদের প্রশ্ন দেয়ার অপেক্ষায় থাকতাম। কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন হবে না। সবাই সহজেই সব প্রশ্ন পেয়ে যাবে। ফলে আর পরীক্ষার আগে চাপে থাকতে হবে না শিক্ষার্থীদের। 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগে দুর্ভোগ ও চাপ দূর করার জন্য ছাত্রলীগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এক অভাবনীয় পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছে। এটি যুগোপযোগী, শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কাজ। পরীক্ষার আগে সকল শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত চাপে থাকতে হয়। কিন্তু এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও চাপমুক্ত হবে। শিক্ষার্থীরা এতে খুবই উপকৃত হবে বলেই আমরা আশাবাদী।