ছাত্রলীগের সম্মেলনের মূল মঞ্চের ব্যানারে ‘বাংলাদেশ’ নামের বানান ভুল
বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। যা সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে রয়েছে। সেই নামটি লিখতে ভুল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় সংসদ। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংগঠনটির ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মূল মঞ্চের ব্যানারে এই ভুল বানান দেখা গেছে। এই আয়োজনের বিভিন্ন দিক ছাপিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সম্মেলনের এই ব্যানার নিয়ে।
এদিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রধান অতিথির পদবীর বানান লেখা হয়েছে ভুলভাবে। ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার'। যা মূলত 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' হবে।
ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেছেন, কোন যোগ্যতা বিবেচনা না করেই সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্ন উপ-কমিটিতে নেতাদের কাছে লোকদের দায়িত্ব দিয়েছে। এ কারণে অনেক কাজই ঠিক মতো হয়নি। এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্তদের কর্তব্যে অবহেলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, সম্মেলনে মঞ্চের দায়িত্বে ছিল মঞ্চ উপ-কমিটির। এই উপ-কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাগর হোসেন সোহাগ।
আরও পড়ুন: কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, বিসিএস পরীক্ষাও দিতে হবে: ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী
বানান ভুলের বিষয়টি নিয়ে মঞ্চ উপ-কমিটির ১নং যুগ্ম-আহবায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নূরে আলম আশিক বলেন, আসলে আমরা একেকজন একেক দায়িত্বে ছিলাম। মঞ্চে অনেক ধরনের কাজ থাকে। আমি ব্যানারের দায়িত্বে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমার জানার কথা না। এটি জন্য আপনি মঞ্চ উপ-কমিটির আহবায়কের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে মঞ্চ উপ-কমিটি আহবায়ক সাগর হোসেন সোহাগকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে ফোনে মেসেজ দেওয়ার পরেও তিনি কোনো রিপ্লাই দেননি।
এদিকে সম্মেলনের দিন ঘোষণা করা হয়নি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নতুন নেতৃত্বের নাম। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত পৌঁছে দেবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার সংগঠনের দুই শীর্ষ পদ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ৯৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ ও সংগ্রহ করা হয়।