টাকার বিনিময়ে মাঝরাতে কমিটি দিয়েছে ছাত্রলীগ
পঞ্চগড়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাঝরাতে টাকার বিনিময়ে ১০টি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন তিনি টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ জানা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা। উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদত্যাগী সভাপতি তাপস চন্দ্র রায় এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই টাকার বিনিময়ে ১০টি ইউনিয়নের নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২৫ নভেম্বর মাঝরাতে বর্তমান কমিটিকে না জানিয়ে। তারা আরও অভিযোগ করে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব কমিটি অনুমোদন দেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। ওই কমিটিতে স্কুলের শিক্ষার্থী, বিবাহিত, ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী, অছাত্র, মাদকাসক্ত এবং জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তানরা পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। তারা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে ১০টি ইউনিয়নের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জবিতে ৪ সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে হামলা
তারা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছে জানিয়ে এ বিষয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, যারা বর্তমান কমিটিতে পদ পাননি তারাই এ ধরনের অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সবাইই জানেন। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটিতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পদ দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক পাটোয়ারি প্লাবন জানান, আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো ইউনিয়নে কমিটি গঠন বা বাতিল না করার জন্য। কিন্তু রাতারাতি ১০ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না বলেও জানান তিনি। আমাকে একটি লিখিত অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন টাকার বিনিময়ে এসব কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবরে পাঠানো হবে।
উপজেলার অমরখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ নেওয়াজ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বিপুল, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোনায়েম আহসান প্রধান মুনিফ, কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আরিফ ফয়সালসহ ১০টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন।