জাপানে থেকেও নাশকতার আসামি ছাত্রদল নেতা
নারায়নগঞ্জের আদালতপাড়ায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠনের অভিযোগে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত সোমবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০ নভেম্বর দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের হাজিরার সময়ে তার মুক্তির দাবিতে আসামিরা সমবেত হন। সেখানে তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠনের উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট দিয়ে আঘাত করেন। মামলায় আলামত হিসেবে চারটি বিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার, বাঁশের ২০টি লাঠি, ১০টি রড, টায়ার ও ভাঙা গ্লাস উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের ওপর হামলা
এদিকে, এ মামলায় ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসহাক ইসলামকে আসামি করায় এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, মামলার ৩৩ নম্বর নম্বর আসামি ইসহাক ইসলাম ৭ মাস আগেই উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে যান। এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন।
প্রবাসী ছাত্রদল নেতা ইসহাক ইসলামকে আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তার মামা জুয়েল আরমান বলেন, আমার ভাগ্নে গত ৭ মাস ধরে জাপানে লেখাপড়া করছে। সে তো দলীয় পদ পাবার পর বেশিদিন দেশেও ছিল না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই মামলা পুরোটাই গায়েবি মামলা। যে মানুষ দেশেই নেই মামলায় তাকে দেখানো হয়েছে ঘটনাস্থলে নাশকতা করতে।
মামলার বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, এটি যে গায়েবি মামলা তা সবাই জানেন। পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজাতে গিয়ে কিছু ভুল করে, এটা সেই ভুল। এই মামলা দেওয়া হয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশে বাধা দিতে ও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাতে। ইসহাক ৭ মাস ধরে দেশে নেই। অথচ তাকেও দেখানো হয়েছে নাশকতাকারী হিসেবে।
প্রবাসী ছাত্রদল নেতাকে নাশকতার মামলায় আসামি করার ব্যাপারে থানা পুলিশের কেউ সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।