পুলিশের পিটুনি ও গুলিতে আহত ছাত্রদলের ১৫ নেতা-কর্মী

ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে
ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রোববার বিকেলে শহরের ইসলামপুর রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এতে পুলিশের রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে ও লাঠিপেটায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরে ছাত্রদলের পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

লাঠিপেটা করে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ কয়েকটি রাবার বুলেট ছুড়লে আহত হন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম বলেন, বিকেলে শহরের গ্রিন টাওয়ারের সামনে থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করলে পেছন থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।

আরো পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার

এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে পালাতে গিয়ে ও গুলিতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ফেনী পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইব্রাহীম হোসেন ও পাছগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী মো. রবিনসহ পাঁচজনকে জনকে আটক করে পুলিশ।

জেলা বিএনপির দাবি, পুলিশের হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম, মইনুল হাসান, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. শরিফ, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত ও মো. মারুফ রয়েছেন। রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন সদর ছাত্রদল নেতা জাহেদ হাসান, মো. অপু, মো. মনির, পৌর নেতা মোজাম্মেল হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. রবিন, মো. মামুন, মো. রমজান ও মো. আরমান।

সদর মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সড়কে ভাঙচুর শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ