১১ নভেম্বর ২০২২, ১৬:২৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা 

লোগো  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এ ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। উক্ত ইউনিটে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

এবিষয়ে নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইয়াসিন বলেন, শিগগিরই নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে চবি ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ। চবি ছাত্রদলকে আরো সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে মেধা, শ্রম, ত্যাগ ও কর্মকে প্রাধান্য দিয়ে চবি ছাত্রদললের নেতাকর্মীদের শিগগিরই নতুন কমিটি  উপহার দিবে সেই প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে।

আরও পড়ুন: উপহার নিয়ে সিএনজি চালকদের দরজায় চবি ছাত্রদল

তিনি বলেন, চবি ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির মধ্যে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমি। বিগত ছয় বছরে আমি অন্তত পাঁচবার ছাত্রলীগের হামলার শিকার হই। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং কেন্দ্রীয় সংসদও প্রতিবাদলিপি দিয়েছিল।

‘‘যদি কেন্দ্রীয় সংসদ আমার ত্যাগ, শ্রম ও কর্মকে মূল্যায়ন করে দায়িত্ব প্রদান করে; তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চবি ছাত্রদলের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দেব।’’

সর্বশেষ ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে খোরশেদ আলমকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রদলের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে ২৪৩ জনের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে ২৪৩ জনকে পদ দেওয়া হলেও বাস্তবে তাদের কোনো সক্রিয়তা নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় দাপিয়ে বেড়ালেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের আর ক্যাস্পাসে দেখা যায়নি। বিক্ষিপ্তভাবে মাঝে মাধ্যে তাদের ক্যাম্পাসে দেখা গেলেও ছাত্রলীগের দাপটে তারা প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করেননি।

এছাড়া ছাত্রলীগ এবং পুলিশের ভয়ে ক্যাম্পাসে দলীয় মিছিল মিটিংসহ কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না ছাত্রদলের ব্যানারে। শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দায় সারে সংগঠনটি। যা সংগঠনটির ভঙ্গুর অবস্থার প্রমাণ বলে মনে করছেন অনেকে।