স্থায়ী বহিষ্কার হচ্ছেন রাজশাহী ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক!
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি হতে পারেন স্থায়ী বহিষ্কার। তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু সুপারিশে কি কি বলা হয়েছ তা বলতে পারেননি তিনি।
তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। সেখানে তদন্ত কমিটি উল্লেখ করে, ‘ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত সব তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যেসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের সঙ্গে চরম মাত্রায় সাংঘর্ষিক। এ অবস্থায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট এদের দ্বারা পরিচালিত হলে সংঘটনের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট হবে যা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সুতরাং তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জোর সুপারিশ করছি।’
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে ছাত্রীর চেয়ে ছাত্রের সংখ্যা বেশী
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক আপন দাস গণমাধ্যমকে জানান, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
উল্লেখ্য, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার এক নারী কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এছাড়া প্রকাশ্যে ফেনসিডিল সেবনের অভিযোগ ওঠে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
দুটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিতর্কের সূচনা হয়। অতঃপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহকে রাখা হয়। তারা রাজশাহী এসে সরেজমিন ঘুরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।