সিনিয়রের ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কলেজ হোস্টেল গেটে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে তিনজন সভাপতির ও দুজন সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আহত তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম কলেজ বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মেহরাজ সিদ্দিকী পাভেল, ইসলামী ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাহেদ অভি, ইতিহাস প্রথম বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মাহমুদ মিনহাজ, রায়হান ও মনির।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে গত ২০ সেপ্টেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে সবুজ গ্রুপের সাজ্জাদ আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে বিকেল ৫টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে হোস্টেল গেটে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম দাবি করেন, সন্ধ্যায় কোনও কারণ ছাড়ায় তিন সাধারণ ছাত্রকে মারধর করা হয়ে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরাই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে নিজের অবস্থান-আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাধারণ ছাত্রদের জিম্মি করতেই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা সবসময় সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে। সবুজের অনুসারীদের অত্যাচারে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মুল্লিক সবুজ দাবি করেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোনও ছেলে জড়িত নয়। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির অনুসারীরাই আমার দুই কর্মীকে মেরেছে। এর মধ্যে একজন মনির অন্যজন রায়হান।

আহত মেহরাজ সিদ্দিকী পাভেল বলেন, কোনও কারণ ছাড়ায় আমাদের ওপর কলেজের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা হামলা করেছে। আমাদেরকে তাদের দলে নিতেই ভয় দেখাতে এই মারধর করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।

চকবাজার থানার ওসি মঞ্জুরুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমাকে মৌখিকভাবে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।


সর্বশেষ সংবাদ