সিএমএম কোর্টের সামনে নুরের অবস্থান, ২০ মিনিটেই শেষ কর্মসূচি
ছাত্রলীগের হামলা ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তবে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করতে এসে ২০ মিনিট পরেই অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে মিছিল নিয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নের নুর। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কোর্টের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে দুপুর পৌনে ১টায় কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেন সাবেক এই ছাত্র নেতা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষ করার আগে নুরুল হক নুরু বলেন, আমরা এখানে অবস্থান নিয়ে বলেছিলাম যে, অন্যায়ভাবে আমাদের সহযোদ্ধাদের যদি কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে আমাদেরও কারাগারে পাঠানো হোক। আমরা স্বেচ্ছায় কারাগারে যেতে রাজি। আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের প্রতি আস্থা রেখেছেন। তারা আমাদের অনুরোধ করেছেন, আমরা যে কোর্ট প্রাঙ্গণে এসেছি তা বিচারকদের সর্বোচ্চ পর্যায় জানে। বিচারকরা তাদের (যারা আটক হয়েছেন) প্রতি অন্যায় করবেন না। ন্যায় বিচার করা হবে। আমরা যেন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে চলে যায়।
আরও পড়ুন: কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
তিনি আরও বলেন, গতকাল আমাদের ২৬ জন ছাত্র বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তাদের উদ্বিগ্ন অভিভাবক তাদের মুক্তির জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন। তাই আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কর্মসূচি শেষ করেছি।
আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
এসময় সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ব্যানার-ফেস্টুনও। এতে পণ্ড হয়ে যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ডাকা সমাবেশ।
হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানেও হামলার শিকার হয়।