ভালোবাসা থেকেই সেই রিয়াদ ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে থাকেন: জয়
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে পারবেন না। তবে গঠনতন্ত্রের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির সহ-সভাপতি পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এস এম রিয়াদ হাসান। দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খানের ঘনিষ্ঠ এই নেতা৷
তাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়লেও এস এম রিয়াদ হাসান একই কাজ অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবারও গাজীপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে এক ছাত্রসমাবেশে অংশ নিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া গতকাল মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের মেয়ের আকিকার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে অংশ নিয়েছেন রিয়াদ। তিনি এখনো অবৈধভাবে হলে অবস্থান করছেন। গতকালও তাঁর দখলে থাকা জহুরুল হক হলের ৩১৩ নম্বর কক্ষে ফ্রিজ ও এয়ারকুলার ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অস্ত্র মহড়ায় কুবিতে হল বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেছেন, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ায় রিয়াদের পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন সাবেক হিসেবে ছুটির দিনে (শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি ছিল) সংগঠনের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে রিয়াদ বিভিন্ন কর্মসূচিতে থাকছেন।’
রিয়াদকে নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই গত শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ আরও একজন চাকরিজীবীকে সংগঠনের সহসভাপতি পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমানুল্লাহ আমান ওরফে সাগর নামের ওই ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে কর্মরত বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ফেসবুকে আমানুল্লাহ আমানের সহসভাপতি মনোনীত হওয়ার চিঠির ছবি পোস্ট করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগের একটি অংশ বলছে, ছাত্রলীগ সভাপতিকে মোটরসাইকেলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়াসহ ব্যক্তিগত কাজ করে দিয়ে তিনি এই পদ পেয়েছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলছেন, আমানুল্লাহ আমানকে সহসভাপতি মনোনীত করার চিঠিটি ভুয়া। যদিও ওই চাকরিজীবী গতকাল ও গত শনিবার ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে মৌলভীবাজার ও গাজীপুর গিয়েছিলেন।