২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৭

কোনো বাবা-মা আর সন্তানদের রাজনীতি করতে দেবে না

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সংবাদ সম্মেলন চলাকালে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সংঠনটির সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে সাংবাদিক বাণী ইয়াসমিন হাসি ফেসবুকে লিখেছেন, আজ সারাদিন যারা আমাকে ফোন করে ত্যক্ত করেছেন তাদেরকে বলছি, সবই তো ওপেন সিক্রেট। আমাকে শুধু শুধু বিরক্ত করা কেন? দয়া করে আমাকে আর কোন ছবি বা ভিডিও পাঠাবেন না। এগুলো দেখার মতন বিকৃত রুচি আমার না।

গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে নানা নাটকীয়তার পর আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইডেন কলেজের অডিটোরিয়ামের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শাখা ছাত্রলীগ। এ কর্মসূচির মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাস ছাড়া ছাত্রলীগের রিভা-রাজিয়া, আনন্দ মিছিল

কলেজের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে নির্যাতনের ঘটনায় রোববার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিনে তার অনুসারী ছাত্রলীগের একাংশ। এসময় সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারীদেরও পাল্টা অবস্থান নিতে দেখা যায়।

পরে দুপুর একটার সময় জান্নাতুল ফেরদৌসের অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকায় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দেন রিভা ও রাজিয়া।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই দুই গ্রুপের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। অবস্থানের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা আহত হন। অপরদিকে অন্য গ্রুপের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুম্মিতা বাড়ৈ আহত হন।

পরবর্তীতে রিভাকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে জান্নাতুল ফেরদৌসের অনুসারীরা। প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তাকে পুলিশি প্রহরা ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

সমালোচনা করে বাণী ইয়াসমিন হাসি ফেসবুকে লিখেন, ‘‘প্রিয় আপা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই অনুরোধ, ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্ব আর কাউকে দিয়েন না, ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক আপনি। এরপর আর কোনো বাবা মা তাদের সন্তানকে ছাত্র রাজনীতি করতে দেবে না।’’