ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১২, ঢাবিতে এক নারী
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাবি ছাত্রদলের ৩৩ সদস্যের এ আংশিক কমিটিতে খোরশেদ আলম সোহেলকে সভাপতি ও আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিএনিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঘোষিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মাত্র ১২ জন নারী স্থান পেয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন নারী।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নারীরা হলেন- সহ-সভাপতি সুলতানা জেসমিন জুঁই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তন্বী মল্লিক, শ্যামলী আক্তার, রেহেনা আক্তার শিরীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন তুলি, নাসরিন আক্তার পপি, তানজিয়া আফরিন এলিনা, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মী, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদে মানসুরা আলম, সহ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসি এবং সদস্য মাকসুদা রিমা ও শারমিন সুলতানা রুমা স্থান পেয়েছেন।
অন্যদিকে ঢাবি ছাত্রদলের কমিটিতে একজন স্থান পেয়েছেন। তিনি ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক কানেতা ইয়া লাম লাম।
জানা গেছে, ছাত্রদলের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। বিরুপ পরিবেশের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন সাবেক ছাত্রী ছাড়া নিয়মিতদের অংশগ্রহণ শূন্যের কোটায় নেমেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নারী কর্মী সংকটের কারণে ছাত্রদল সব কটি হলে প্রার্থী দিতে পারেনি। এমনকি ছাত্রদলের বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও হাতে গোনা কয়েকজন নারীর উপস্থিতি দেখা যায়।
আরো পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদলের কমিটি: কারা এই সোহেল-আরিফ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাদের নিয়মিত না আসা, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদল নেতাদের বয়সের প্রার্থক্যের কারণে কর্মী সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ছাত্রী হলে নিয়মিত কোনও কর্মী নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারি না। বিশেষ করে ছাত্রলীগের দমন নিপীড়নের কারণে আমাদের কাছে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা আসতে ভয় পায়।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমদ জুয়েল বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের রাজনীতি করার অবস্থা এখন আর নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বিরোধী দলের দমনের কারণে নারীরা রাজনীতি করতে পারে না। কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নারী কর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। এ কারণে তারা রাজনীতি করতে ভয় পায়।